বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার ম্যাচ মানেই অন্যরকম উত্তেজনা। নিহাদাস ট্রফির সেই নাগিন ড্যান্স এই উত্তেজনায় নতুন করে ঘি ঢেলে দিয়েছে। এবার এই উত্তেজনায় যোগ হল গতকালের ম্যাচের “টাইমড আউট” ক্রিকেট বিশ্ব দেখলো নতুন এক আউট যা আগে কেউই দেখে নি।
খেলার ২৪.২ ওভারে সাকিবের বলে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন লঙ্কান ব্যাটার সাদিরা সামারাবিক্রমা। এরপর মাঠে আসেন ম্যাথুজ। ব্যাটিং পজিশনে দাঁড়ানোর সময় খেয়াল করলেন নিজের হেলমেট এ কোন সমস্যা আছে তাই তিনি হেলমেট পরিবর্তন করতে যান। এর মাঝেই ঘটে নাটকীয় ঘটনা। বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান আবেদন করেন টাইমড আউট এর। নিয়ম অনুযায়ী মাঠের দুই আম্পায়ার আলোচনা করে আউট দেন। যদিও ম্যাথুজ ক্যাপ্টেন সাকিব এর সাথে আলোচনা করতে চান। কিন্তু সাকিব তার সাথে কথা না বলে জানিয়ে দেন এই ব্যাপারে আম্পায়ার যা বলে তাই সিদ্ধান্ত।
স্যোশাল মিডিয়ায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় তুলে দেওয়া এই ঘটনার ব্যাপারে ক্রিকেট এর আইন প্রনেতা মেলবোর্ন ক্রিকেট এসোসিয়েশন এর ওয়েবসাইটের নিয়মের ৪০.১.১ নাম্বার নিয়মে বলা আছে, ‘উইকেট পতনের পর কিংবা ব্যাটার রিটায়ার্ড হওয়ার পর নতুন ব্যাটার ৩ মিনিটের মধ্যে পরবর্তী বলের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত হবে। এই শর্ত পূরণ করতে না পারলে নতুন ব্যাটার আউট হবেন। টাইমড আউট।’ কিন্তু বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশনে বলা আছে, ৩ মিনিট নয়, ব্যাটারকে পরবর্তী বলের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত থাকতে হবে ২ মিনিটের মধ্যে। ম্যাচের পর শ্রীলঙ্কার হয়ে সেঞ্চুরি করা ব্যাটার চারিথ আশালঙ্কাও এ ধরনের আউটকে স্পিরিট অব ক্রিকেটের জন্য ভালো নয় বলে মন্তব্য করেন।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের বিতর্কিত টাইমড আউট নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি ক্রিকেট স্প্রিটের নিয়ে বলেন, ‘সেঞ্চুরি করা সব সময় দারুণ ব্যাপার। আমার খুব ভালো লাগছে। তবে একটা কথা বলতে চাই। ম্যাথুজের আউট ক্রিকেট স্প্রিটের জন্য ভালো কোনো উদাহরণ নয়।’
যত আলোচনা সমালোচনাই হোক না কেন, সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে ক্রিকেটারদের ক্রিকেটের নিয়ম কানুন নিয়ে আরো সচেতন হতে হবে। এমন টাই মন্তব্য করেছেন ম্যাচ চলাকালীন কমেন্টেররা।