রোহিতের এক ক্যাচ—শিরোপার মিমাংসা তো তখনই হয়ে যায়। কাভার থেকে উল্টো দৌড় দিয়ে মিড অনে গিয়ে বল তালুবন্দি। তর্ক থাকতে পারে, কিন্তু গ্রেটেস্টে ক্যাচগুলোর মধ্যে বোধ করি সবার ওপরেই থাকবে এটি। হেক্সা পূর্ণ হতে একটা শিরোপার অভাব ছিল অজিদের। আগের পাঁচ বিশ্বকাপ জেতা দলের সঙ্গে পার্থক্য খুঁজতে গেলে হয়তো সবচেয়ে দুর্বল হবে প্যাট কামিন্সের দল। কিন্তু জাদুঘরে রাখতে চাই আরও একটা ট্রফি। সেটা এনে দেবেন কে? ১৫ জনেরই তো দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যে দুজনের ব্যাটে এলো; নায়ক হওয়ার কথা তাদেরই ছিল।
ট্রাভিড হেড: চোট থাকার পরও টিম ম্যানেজমেন্টের বিশ্বাস ছিল তার ওপর। শুরু থেকে দলের সঙ্গে টেনে নিয়ে গেছে, যখন ফিরেছিলেন সেঞ্চুরি দিয়েছেন, ফাইনালেও দিলেন; শিরোপাও এনে দিলেন। বলে রাখা ভালো, দেড়শো পেরোনো ইনিংসে টেস্টের শিরোপাটাও এনে দেওয়ার কৃতিত্ব পাবেন এই হেড।
লাবুশানে: ভদ্র মানুষটাকে নিয়ে আলাদা করে বলতেই হবে। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ছিলেন না। সতীর্থদের চোটে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে জায়গা হয়ে যায়। দুটা ম্যাচ জেতানো ইনিংস আর মায়ের স্বপ্ন; বিশ্বকাপ পর্যন্ত নিয়ে আসে তাকে। ব্যাটে আহামরি কিছু করতে পারেননি। কিন্তু ফিল্ডিংয়ে ছিলেন দলে মধ্যমণি। ভালো যখন করার দরকার, তখন ঠিকই করে ফেললেন। এমন ভালো করলেন যে, শিরোপাও উঁচিয়ে ধরতে পারলেন।
‘প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার দর্শক ভারতকে সমর্থন করবে। কিন্তু বিশাল দর্শককে চুপ করিয়ে দেয়ার মতো আনন্দের আর কিছু খেলায় নেই’—ফাইনালের আগে কথাটি বলেছিলেন প্যাট কামিন্স। এক ঘণ্টা যেতেই তার কথাটির প্রমাণ মিলেছিল আহমেদাবাদে। যতবার উল্লাসের শব্দ এসেছে, ততবারই টুঁটি চেপে ধরেছিল অস্ট্রেলিয়া। বোলিং, ফিল্ডিং কিংবা ব্যাটিং—চ্যাম্পিয়ন হতে যা যা দরকার, সেটাই দেখালেন ট্রাভিস হেড, মিচেল স্টার্ক, লাবুশানেরা। হ্যাঁ, চ্যাম্পিয়নরা এমনই হয়।