গতবার কাগজে-কলমে দুর্বল টিম হয়ে শুরু করেও ফাইনাল খেলেছিল মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার নেতৃত্বাধীন সিলেট স্ট্রাইকার্স। এবারও অন্যান্য দলের তুলনায় অনেকটাই কম শক্তিশালী মনে হচ্ছে মাশরাফির সিলেটকে। একদিকে মাশরাফি পুরো সিজন খেলতে পারবেন কিনা এটা এখনো নিশ্চিত নয় সিলেট স্ট্রাইকার্স কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে মাশরাফির অবর্তমানে কে নেতৃত্ব দেবেন দলকে তাও এখনো ঘোষণা করেনি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
তবে ভালো খবর হচ্ছে সিলেটের বিদেশি খেলোয়াড়দের অধিকাংশই পুরো মৌসুমী খেলতে পারবেন। যেখানে অন্যান্য দল তাদের বিদেশি খেলোয়াড়দের থেকে পুরো সিজনের সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন। সিলেটের সঙ্গে যুক্ত নাফিস ইকবাল জানান, তারা এবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই টিম গঠন করেছেন এবং বিশ্বাস করেন এই দলটিকে নিয়েই সিলেট আবারও চমক দেখাবে।
গতবারের সবচেয়ে বড় স্টার মুশফিকুর রহিম চলে গেছেন বরিশালে এবং তৌহিদ হৃদয় এবার খেলবেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে। নাফিস ইকবাল আরো জানান, গতবার যখন তৌহিদ হৃদয় খেলছিল তখন সে এত বড় তারকা ছিলেন না। সিলেটের হয়ে পারফর্ম করেই সে আজ অনেক বড় তারকা। আমরা এবারও বিশ্বাস করি আমাদের দল থেকে এমনই অসাধারণ পারফর্ম করবেন নতুন কোন খেলোয়াড়।
মাশরাফি বিন মর্তুজা এই বয়সে এসেও কি পারবেন আরেকটি চমক দেখাতে? সে আশাই করেন সিলেটের ভক্তরা।
সিলেট স্ট্রাইকারসে স্কোয়াড:
দেশি খেলোয়াড়: মাশরাফি বিন মর্তুজা, নাজমুল হোসেন শান্ত, জাকির হাসান, তানজিম হাসান সাকিব, রেজাউর রহমান রাজা, নাজমুল ইসলাম অপু, মোঃ মিঠুন, আরিফুল হক, ইয়াসির আলী চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, নাঈম হাসান, জাওয়াদ মুহাম্মদ রুয়েল, সালমান হোসেন ইমন, শামসুর রহমান শুভ।
বিদেশ খেলোয়াড়: রায়ান বার্ন( জিম্বাবুয়ে), হ্যারি টেক্টর (আয়ারল্যান্ড), বেন কাটিং (অস্ট্রেলিয়া), সামিত প্যাটেল দুশান হেমন্ত (শ্রীলঙ্কা), রিচার্জ নাগারাবা (জিম্বাবুয়ে)।
এদের মধ্যে পুরো মৌসুমের জন্য পাওয়া যাবে হ্যারি ট্যাক্টর, বেন কাটিং, সামিট প্যাটেল(ইংল্যান্ড), দুশান হেমন্ত, বনি হাওয়েল। রায়ান বার্ল এবং রিচার্ড নাগারাবাকে পাওয়া যাবে ১৯শে জানুয়ারি থেকে। শন গ্যাব্রিয়েল আসবেন ২৫ শে জানুয়ারি।