সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়েছেন সৌম্য সরকার। দলে ফেরার পর এমন একটি ইনিংসই তার বদলে যাওয়ার আশ্বাস। সৌম্য আবার রানে ফিরছেন, আবারও ইনিংস রাঙিয়েছেন—এটাই বোধহয় জরুরি খবর। তবে এমন দাপুটে ইনিংসের পেছনেও ছিল কিছু মানুষের আস্থা ও সাপোর্ট। সৌম্য অবশ্য শুরুতে পরিবার, স্ত্রীকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন। একই সঙ্গে তার ওপর ভরসা করার জন্য কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকেও কৃতিত্ব দিলেন তিনি।
১৫১ বলে ১৬৯ রান। দলের মোট রানের ৫৮ শতাংশের বেশিই করেছেন সৌম্য। তারপর ম্যাচ জিততে না পারার আক্ষেপ পোড়াচ্ছে বাঁহাতি ওপেনারকে। তবে এমন ইনিংসে ফিরে আসার বার্তাও যে দিলেন সেটাও বা কম কিসে। সৌম্য তাই কৃতিত্বের সঙ্গে স্মরণ করেছেন পাশে থাকা মানুষদের। ম্যাচে পর তিনি বলেছেন, ‘প্রথমত ধন্যবাদ দিব আমার পরিবারকে, আমার স্ত্রীকে। সে সব সময় সমর্থন যুগিয়েছে। আর সতীর্থরা তো আছেই। হাথু (কোচ) আসার পর তার সঙ্গে যতটুকু ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছি, সে অনেক সমর্থন যুগিয়েছে এবং ছোট ছোট জিনিস ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে ভালোর জন্য।’
শেষ পাঁচ ইনিংসে তিনবার শূন্যের পর এমন সেঞ্চুরি। ৫ বছর পর ওয়ানডেতে তৃতীয় শতক, দেশের বাইরে প্রথম। সৌম্য বললেন, ‘খারাপ খেললে তো সবারই খারাপ লাগে, খারাপ যায়। কিন্তু হয়তবা ভালো করলে এটা শোনা লাগত না। ভালোর জন্যই হয়ত…(শুনতে হয়) কিছু পেতে গেলে কিছু যায়। ঈশ্বর যেটা দিছেন সেটা নিয়েই সন্তুষ্ট।’
হাথুরুর কোনো বিশেষ ভূমিকা ছিল কী না প্রশ্নে সৌম্যের সহজ স্বীকারোক্তি, ‘এরকম কোন কিছুই না, সৌম্য সৌম্যই ছিলাম। হয়তবা সে আমাকে ভালো বুঝে এজন্য ছোট এক জিনিস বলেছে, যা আমার জন্য ক্লিক করেছে। আমরা কীভাবে দেখি সেটা বড় বিষয়। একটা মানুষ হেঁটে গেলে তার মধ্যে অনেক নেগেটিভিটি পাবেন। আপনি যদি কেবল নেগেটিভি দেখতে চান নেগেটিভিটিই দেখবেন। পজেটিভ চিন্তা করলে পজিটিভ জিনিস পাবেন।’