কাগিসো রাবাদাকে ফাইন লেগে ঠেলে দিয়ে দৌড়াতে শুরু করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে প্রান্ত বদল হতেই বাতাসে ঘুষি মেরে উদযাপন। এরপর আঙুল আকাশের দিকে তুলে ইশারায় বলতে চাইলেন, ‘এটা আমার অর্জন না, উপরওলার দান’। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে একমাত্র অর্জন রিয়াদের সেঞ্চুরি।
এবারের বিশ্বকাপে এটি প্রথম কোনো বাংলাদেশি ব্যাটারের তিন অঙ্কের ইনিংস। ১১১ রানে থামার আগে দলের হারের ব্যবধান কমিয়ে দিয়ে গেলেন তিনি। ড্রেসিংরুমে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে থেকে শুরু করে টিম ম্যানেজমন্টে—সবাই পিঠ ছাপড়ে দিলেন তার। অথব এবার বিশ্বকাপ দলে থাকবেন কী না, সেটাও নিশ্চিত ছিলেন না ডান হাতি এ অভিজ্ঞ ব্যাটার। ইংল্যান্ড সিরিজের পর জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন, ফিরেছিলেন নিউজিল্যান্ড সিরিজে। মাঝে বেশ কয়েকটি সিরিজে না থেকেও ফেরার লড়াই করে গেছেন তিনি। বিশ্বকাপে তার ছাপও রাখছেন রিয়াদ।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ৫ ম্যাচের চারটির একাদশে ছিলেন রিয়াদ। দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার মাঝেও শেষ দিকে একমাত্র তিনিই ছিলেন দলের সেরা রান স্কোরার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস। ভারতের সঙ্গেও রিয়াদের ব্যাটে বাংলাদেশ পেয়েছিল ৪৬ রানের লড়াকু ইনিংস। এবার সেটা ছাপিয়ে গেলেন তিনি। মুম্বাইতে দলের ব্যাটিং ভরাডুবিতে একটাই লড়েছেন। ৮১ রানে মেহেদী হাসান মিরাজের ফেরার পর নাসুম আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজের সঙ্গে ছোট ছোট জুটিতে বাংলাদেশকে টেনে নেন তিনি। একাই লড়ে গেছেন একপাশ আগলে। শেষ পর্যন্ত মুস্তাফিজের কাজ থেকে পাওয়া সমর্থনের জোরে সেঞ্চরি মিলেছে তার ব্যাটে। ক্যারিয়ারের চতুর্থ ও বিশ্বকাপে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি।