ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশের কয়টি আইসিসি ট্রফি আছে জানেন? ক্রিকেট ইতিহাসের বাংলাদেশের বড় বড় নাম জড়িয়ে থাকলেই বাস্তবতা হল বাংলাদেশের একমাত্র আইসিসি ট্রফিটা এসেছিল অনুর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক আকবর আলীর হাত ধরে সেই ২০২০ সালে। এই চ্যাম্পিয়নদের অনেকেই দাপটের সাথেই খেলছেন জাতীয় দলে, অনেকেই খেলছেন এবারের বিপিএলে। কে কোন দলে খেলছে এবং কেমন হচ্ছে তাদের পারফর্মেন্স? চলুল জেনে নেই।
তৌহিদ হৃদয়ের নাম সম্ভবত এই দলে সবার আগে আসবে। এই ব্যাটার আছেন ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ফর্মে। জাতীয় দল, ফ্র্যাঞ্চাইজি মিলিয়ে ভালই যাচ্ছে এই ব্যাটারের। গতবার সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেললেও এবার খেলছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে। তিনি এ পর্যন্ত ১১ ম্যাচ খেলে প্রায় ৪০ গড়ে করেছেন ৩৫৮ রান । এর মাঝে আছে ১ টি শতক এবং ১ টি অর্ধশতক।
তানজিদ হাসান তামিম এখনো পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টের সেরা রান সংগ্রাহক। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খেলা এই বাহাতি ওপেনার ১১ ম্যাচ খেলে প্রায় ৩৫ গড়ে করেছেন ৩৮২ রান। এর মধ্যে আছে ১ টি শতক ও ২ ট অর্ধ শতক।
জাতীয় দলের হয়ে নিয়মিত খেলা শরিফুল ইসলাম খেলছেন দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে। নিজের দল টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলেও এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সেরা বোলারের জায়গা দখল করে রেখেছেন এই বাহাতি পেসার। ১২ ইনিংস খেলে ১৫.৮৬ গড়ে নিয়েছেন ২২ উইকেট। তার সেরা বোলিং সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ২৪ রানে ৪ উইকেট।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেলা তানজিম হাসান সাকিব পারফর্মেন্সের বিচারে থাকবেন এর পরই। সিলেটের হয়ে তিনি এ পর্যন্ত খেলেছেন ৮ ম্যাচ এবং বঅল হাতে নিয়েছেন ৯ উইকেট।
পারভেজ হোসেন ইমন খেলছেন খুলনা টাইগার্সের হয়ে। যদিও প্রথম দিকে দলে জায়গা না পেলেও শেষের দিকে এসে খেলেছেন ৪ ম্যাচ। এর দুই ম্যাচে ভাল করলেও এক ম্যাচে আউট হয়েছেন শূন্য রানেই। এছাড়াও এই দলের হয়ে খেলেছেন অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবর আলি। তুই ম্যাচ খেলা এই ব্যাটার নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেন নি। এই দলের হয়ে খেলেছেন মাহমুদুল হাসান জয় ও।
রকিবুল ইসলাম খেলছেন ফরচুন বরিশালের হয়ে। তবে তিনি এখন পর্যন্ত কোন ম্যাচ খেলার সুযোগ পান নি। এছাড়াও শাহাদাত হোসেন দিপুরাও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেন নি।
শামীম পাটোয়ারী খেলছেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। তিনি ফিনিশিং এ অসাধারণ করছেন দলটির হয়ে।