সিলেট টেস্টের নায়ক ছিলেন তাইজুল ইসলাম। তার স্পিন ভেলকিতে ১৫ রানে হারে নিউজিল্যান্ড। মিরপুরেও যে স্পিনাররা চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে, সেটা জানে নিউজিল্যান্ড। টিম সাউদি নিশ্চিত মিরপুরের উইকেট হবে স্পিন সহায়ক।
তাইজুলের সঙ্গে সিলেট টেস্টে বল হাতে টাইট বোলিং করেন ডানহাতি স্পিনার নাঈম হাসান। ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো কিউইদের হারাতে প্রথম ইনিংসে ৭৩ রানে ১ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪০ রানে ২ উইকেট নিয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন তিনি। মিরপুর টেস্টেও তার দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। তবে ম্যাচের আগের দিন অনুশীলনে চোট পেয়েছেন তিনি। আজ তার খেলা নিশ্চিত নয়। সিলেট টেস্ট পুরোপুরি স্পিন সহায়ক না হওয়ার পরও চার ইনিংসে ৩২ উইকেট নিয়েছিলেন স্পিনাররা।
পেসাররা দখলে নেন মাত্র ৬টি। মিরপুরে পেসাররা কেমন করবেন? সাউদি বলেছেন, ‘এই কন্ডিশনে স্পিন বড় ভূমিকা রাখবে, এটাই প্রত্যাশিত। প্রথম টেস্টে তাই হয়েছে। এখানেও একই রকম হওয়ার কথা। তবে এটা ঠিক, কাইল জেমিসন সিলেটে বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছে। এই কন্ডিশনে তাকেও বেশ ভয়ংকর মনে হয়েছে। তবে এখানে সব সময়ই লড়াইটা হবে স্পিনের। এটাই প্রত্যাশিত। দ্বিতীয় টেস্টেও তাই হবে হয়তো।’
তিনি আরও বলেন, ‘মিরপুরে আমরা স্পিন সহায়ক উইকেটই হবে ধরে নিচ্ছি। আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলেছি আগের ম্যাচ নিয়ে। আমাদের লম্বা সময় ধারাবাহিকভাবে জুটি বেঁধে বোলিং করতে হবে। বোলিং জুটিটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ সাউদি আরও বলেন, ‘আমাদের কয়েকজন এ ধরনের কন্ডিশনে খেলেনি। এখানে একেকজনের খেলার ধরন একেক রকম। কেনকে তো আমরা দেখলামই, সে দারুণ ছিল। সে তুলনায় ড্যারেল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপসের খেলার ধরন ভিন্ন। এখানে সফল হওয়ার উপায় হচ্ছে নিজের সামর্থ্যে আস্থা রাখা এবং সেটা লম্বা সময় ধরে রাখা।’