অজানা এক কারণে হঠাৎ জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন; বাদ পড়ার কারণটাও জানা হয়নি তার। কখনো জানতেও চাননি তিনি—বলছিলাম মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কথা। নীরবে নিভৃতে নিজের কাজটাই করে গেছেন তিনি। ধৈর্য ধরলে যে ফল পাওয়া যায়, এটা বোধ হয় মাহমুদউল্লাহ ছাড়া ভালো কেউ বলতেও পারবেন না। ধৈর্য্য ধরে চুপ করে থেকেছিলেন—কারোর কাছে অভিযোগ দিতে যাননি।
ভাগ্যের কী লীলা, তার জায়গায় যতজনকেই দেখা হয়েছে; সবাই হয়েছিলেন ব্যর্থ। বিশ্বকাপে তাই অবধারিত নিয়মেই সুযোগ হয় তার। নিজের চতুর্থ ও শেষ বিশ্বকাপ বলে কথা—এত অপমানের বদলা নেওয়ার জন্য এর চেয়ে ভালো মঞ্চ আর কী বা হতে পারতো! মাহমুদউল্লাহ দেখিয়েছেন, অভিজ্ঞতার কাছে বয়স মাত্রই সংখ্যা। তিনি পেরেছেন বলেই বোধহয় বাংলাদেশও পেয়েছে একটি সান্ত্বনার সেঞ্চুরি। এভাবেই যুগে যুগে এ দেশের ক্রিকেটে একজন মাহমুদউল্লাহ ফিরে আসবে, এমন প্রত্যাশা ভক্ত-সমর্থকদের।