অধিনায়ক পরিবর্তন করার পরই জয়ের দেখা পেল সিলেট

সিলেট দল

গতবারের রানার্সআপ সিলেট স্ট্রাইকার্সের প্রতি দর্শকদের চাহিদা ছিল আকাশচুম্বি। এর পেছনে কারন ও ছিল অনেক। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন দুইটি কারনের একটি কারন হল গত আসরে একটা সাদামাটা দলকে নিয়ে ক্যাপ্টেন মাশরাফির অসাধারণ নেতৃত্ব দিয়ে দলকে ফাইনালে নিয়ে গেছেন। তাই দর্শকদের এবারো চাহিদা ছিল আকাশচুম্বী। কিন্তু সেই আশায় এবার স্বপ্ন বাধতে পারলো না চায়ের দেশের সমর্থকদের। সেমিফাইনালের দৌড়ে অনেকটা পিছিয়ে থাকা এই দল অবশেষে জয় পেয়েছে পাচ ম্যাচ পরে।

দুই দিনের বিরতীর পর শুক্রবার শুরু হওয়া বিপিএলে দিনের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে সিলেটকে ব্যাটিং এ পাঠান দুর্দান্ত ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। শুরুটা দুর্দান্তই করেছিলেন ঢাকার বোলাররা। মাত্র ১৩ রানে সিলেটের ৩ উইকেট তুলে নেন শরিফুলরা। এর মধ্যে ছিল এই আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করা জাকির হাসানের উইকেটও। এরপর অবশ্য সামিত প্যাটেল এবং অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুনের ৫৭ রানের জুটি শুরুর ধাক্কা থেকে দলকে টেনে তুলে। সামিত প্যাটেল ৩২ বলে ৩২ রান করে আউট হলেও অধিনায়ক মিথুন করেন ৪৬ বলে ৫৯ রান। শেষ দিকে আরিফুল হকের ৯ বলে ২১ রানের ক্যামিওতে সিলেট নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে করে ১৪২ রান। ঢাকার হয়ে শরিফুল ইসলাম নেন ৪ উইকেট। এছাড়া আরাফাত সানি নেন ২ উইকেট। তাসকিন আহমেদ ও উসমান কাদির প্রত্যেকে নেন একটি করে উইকেট।

জবাবে ১৪৩ রানে জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই মাত্র ১৯ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে। তবে কিছুটা সামাল দেন সাইফ হাসান ও এলেক্স রস। সাইফ ১৯ বলে ১৭ রান করে ৫০ রানে আউট হওয়ার পর নিয়মিত বিরতীতে উইকেট হারায় ঢাকা। শেষের দিকে তাসকিনের ১১ বলে ছয় ৪ রানে ২৭ রান শুধু পরাজয়ের ব্যবধানটাই কমিয়েছে। দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ও ছিলেন তাসকিন। এছাড়া এলেক্স রস করেন ২০ রান। সিলেটের পক্ষে ৩০ রানে ৪ উইকেট নেন রিচার্ড নাগারাভা। রেজাউর রহমান রাজা নেন ২ উইকেট। এছাড়া নাইম হাসান ও বেনি হাওয়েল প্রত্যেকে নেন একটি করে উইকেট।

অসাধারন বোলিং এর জন্য ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন রিচার্ড নাগারাভা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top