হোটেল থেকে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে এসেছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান, খুশদিল শাহ, আমের জামালরা। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে উড়তে থাকা খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে নিজের সেরাটা বোলিং করেছেন জামাল। এতে ৩৪ রানে জিতে পয়েন্ট টেবিলের তিনে জায়গা করে নিয়েছে গত আসরের শিরোপাজয়ী কুমিল্লা।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে স্কোর বোর্ডে ১৪৯ রান তোলে কুমিল্লা। রান তাড়ায় মাত্র ১১৫ রান করে খুলনা। বল হাতে একাই পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন জামাল। টানা চার ম্যাচ জেতার পর দুই হারে পয়েন্ট টেবিলের চারে নেমে গেল এনামুল হক বিজয়ের দল খুলনা।
কুমিল্লার ব্যাটিংয়ের শুরুটা দারুণ হয়েছিল। লম্বা সময় পর ছন্দে ফেরেন অধিনায়ক লিটন দাস। শুরু থেকেই একপাশে দ্রুত রান তোলেন তিনি। তবে অপরপ্রান্তে থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ান ছিলেন ব্যর্থ। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই থিতু হয়েও রান করতে ব্যর্থ হন পাকিস্তান ওপেনার। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৪৬ রান তোলে কুমিল্লা। দলীয় ৬৯ রানের মাথায় ফেরেন লিটন (৩০ বলে ৪৫)। এরপর ফেরেন রিজওয়ানও। শেষ দিকের ব্যাটারদের ছোট ছোট ইনিংসে জয়ের পুঁজি পেয়ে যায় কুমিল্লা। লিটনের বিশ্বাস ছিল ১৫০ করলে জেতানোর মতো বোলার ছিল তার। ম্যাচেও হয়েছে ঠিক তাই।
১৫০ রানের চ্যালেঞ্জ তাড়া করতে এসে শুরুতেই ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিত দেন বিজয়। তবে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি ১২ বলে ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর কুমিল্লার বোলিং আক্রমণের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি খুলনার ব্যাটাররা। তিনে নেমে বরাবরের মতো ব্যর্থ আফিফ হোসেন ধ্রুব। প্রথমবার একাদশে সুযোগ পেয়েও ৫ রানে থেমেছে আকবর আলির ইনিংস। পারভেজ হোসেন ইমনকে মিডল অর্ডারে পাঠালেও ফেরেন শূন্য রানে। এরপর একের পর এক উইকেট নিয়ে ম্যাচের সমাপ্তি টানেন জামাল।