বিসিবি সভাপতি হতে যেটা করতে হবে মাশরাফির

পূর্ণমন্ত্রী হয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। প্রায় এক যুগ ধরে বিসিবি সভাপতির পদে থাকার পর এবার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তিনি। তাহলে কী বিসিবি ছেড়ে দিচ্ছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ছেলে পাপন? এমন প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই হ্যাঁ বলেই জানিয়েছেন পাপন। তবে নতুন সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনা।

মন্ত্রী হয়ে বিসিবির সভাপতি থাকতে সমস্যা নেই—বোর্ড ও আইসিসির নিয়মই বলছে তা। তবে সচ্ছতা ঠিক রাখতে বিসিবি ছাড়তে চান পাপন। সেক্ষেত্রে অনেকেই বলছেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার নাম। তবে নিয়মের প্যাঁচে বিসিবির সভাপতির দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে তিনি। পাপনের চোখেও পথটা সহজ নয়। আজ বনানীতে পাপন বলেছেন, ‘এটা বলা মুশকিল। প্রথম কথা হচ্ছে, এটা একটা প্রক্রিয়া। প্রথমে তাকে (মাশরাফি) কাউন্সিলরশিপ নিতে হবে। এরপর নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। নির্বাচিত যারা হয়ে আসবে, তারাই ঠিক করবেন কে সভাপতি হবে। প্রসেসটা খুবই সহজ।’ 

তবে এরপরও কিছু বাধা আছে। সেটার ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছেন, ‘এখন ধরে নিলাম আমার বোর্ডের সবাই আছে, খালি নতুন ২/১জন আসল। এখানে সিনিয়রদের মধ্যে আছেন, সিরাজ ভাই, ববি ভাই, জালাল ইউনুস, মাহবুব উল আনাম। আবার ক্রিকেটারদের মধ্যেও সিনিয়র যারা আছে, আকরাম খান, দুর্জয়, সুজন—অনেকেই আছে। তারা কাকে বেছে নেবে এটা বলা কষ্ট। বাইরে থেকে চাপানোর কোনো সুযোগই নেই।’ 

ব্যক্তিগত কোনো সাজেশন থাকতে পারবে কী না এমন প্রশ্নে তিনি বলেছেন, ‘আমি যদি ওখানে না থাকি, তাহলে তো সাজেস্ট করার ব্যাপারই নেই। আর এটা এভাবে হয় না, যে আমি কাউকে সাজেস্ট করব। আমি সাজেস্ট করলে এটা তো ইনফ্লুয়েন্স হয়ে গেল। এমন একজনকেই হতে হবে, যাকে সবাই মেনে নিচ্ছে। যদি বোর্ডের সবাই মেনে না নেয়, তাহলে বোর্ড চালাবে কীভাবে। এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয়, তখন যারা ডিরেক্টর হবেন, তাদের সঙ্গে বসেই ঠিক করতে হবে।’

বিপিএলে ধারাভাষ্য কক্ষে বসছে তারার মেলা

৮ বছরের সাজা হলো লামিচানের

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top