ওয়ানডে বিশ্বকাপের বছর হওয়াতে বাকি সংস্করণগুলো নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয়নি। তারপরও টেস্টে এ বছর উজ্জ্বল সময় কেটেছে বাংলাদেশের। ঘরের মাঠে খেলা চার টেস্টের তিনটিই জিতেছে স্বাগতিকরা। তবে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিল নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে জয়। বোলিংয়ে লাল বলের ক্রিকেটে বছরটা দারুণ কেটেছে তাইজুল ইসলামের। পুরো বছরজুড়ে উইকেট শিকারী বোলারদের তালিকায় সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তবে এভারেজের দিক থেকে সেরা দুইয়েই বাঁহাতি এই স্পিনার।
এ বছর তুলনামূলকভাবে কম টেস্টই খেলেছে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া যেখানে খেলেছে ১৩টি, বাংলাদেশ খেলেছে মাত্র ৪টি। আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ৮ দলের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। তারপরও বোলিংয়ে নিজেদে অন্যদের চেয়ে আলাদা করেছেন তাইজুল। ৪ ম্যাচে ১৮.৪৬ গড়ে উইকেট নিয়েছেন ২৪টি। দুবার করে ইনিংসে চারটি ও পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। তবে গড়ের দিক থেকে বাংলাদেশ স্পিনারের চেয়ে এগিয়ে ভারতের রবিচন্দ্র অশ্বিনের। ৭ টেস্টে ১৭.০২ গড়ে তিনি নেন ৪১টি উইকেট।
এ তালিকার শীর্ষে অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার নাথান লায়ান। ১০ টেস্টে ৪৭ উইকেট নেন তিনি। এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮টি নেওয়ার রেকর্ড আছে অজি স্পিনারের। দুইয়ে থাকা অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ১১ ম্যাচে নেন ৪২ উইকেট। টেস্ট থেকে অবসরে যাওয়া স্টুয়ার্ড ব্রড মাত্র ৮ টেস্টে নেন ৩৮ উইকেট। এক ম্যাচ বেশি খেলা অজি পেসার মিচেল স্টার্কও নেন সমান সংখ্যক উইকেট।