শিরোনাম দেখেই চমকে উঠতে পারেন! চমকে যাওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়। বছরের পর বছর দলে সুযোগ পাওয়া সৌম্য সরকারের অতীত রেকর্ড যে সেটাই বলে। তবে হ্যাঁ, শুরুতে যেটা পড়েছেন সেটাই হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সৌম্য নিজেকে ফিরে পাওয়ার বার্তা তো দিলেনই, সঙ্গে রেকর্ড বইয়ে ওলট-পালট করে দিলেন। এশিয়ার প্রথম ব্যাটার হিসেবে তাসমান পাড়ের দেশটিতে ১৬৯ রানে দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দিলেন।
কিউইদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২৯১ রান করেও ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে ইতিমধ্যে হেরেও গেছে টাইগাররা। তবে ব্যাট হাতে সৌম্য যা করেছেন, তাতে ম্যাচসেরার পুরস্কারটা তার হাতেই উঠেছে। সৌম্যের প্রতি টিম ম্যানেজমেন্টের যে আস্থা, যেন তারই প্রতিদান দিতেন বাঁহাতি ওপেনার।
ম্যাচের শুরু থেকে এক পাশে যখন ব্যর্থ এনামুল হক বিজয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাসরা। তখন আরেকপাশে রানের চাকা সচল রেখে ব্যাটিং করে যান সৌম্য। তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ছোট ছোট জুটিতে ফেরার বার্তা স্পষ্ট করেছেন। ১১৬ বলে সেঞ্চুরির পর ১৫১ বলে খেলেছেন ক্যারিয়ারসেরা ১৬৯ রানের ইনিংস। বাংলাদেশি কোনো ব্যাটারের এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস, প্রথমটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লিটনের ১৭৬ রানের সেই ইনিংস।
তবে কন্ডিশন, ম্যাচ পরিস্থিতি বা প্রতিপক্ষ বিবেচনায় সৌম্যের এই ইনিংস সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা। একই সঙ্গে সেনা কন্ডিশনে সৌম্যের আগে এমন ইনিংস ছিল ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের। তার ১৬৩ রানের ইনিংস ছাপিয়ে এখন অন্যন্য উচ্চতায় সৌম্য।