সময়ের পরিক্রমায় পরিবর্তন ঘটছে ক্রিকেটে। টেস্ট, ওয়ানডে থেকে ফরমেট ছোট হয়ে এখন ক্রিকেট বিশ্ব দেখে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দাপট এমনকি চলে টি-১০ এর টুর্নামেন্ট ও। অন্যদিকে এখনো জৌলুশ ধরে রেখেছে সবচেয়ে প্রাচীন ফরমেট টেস্ট ক্রিকেট। তবে বর্তমানে আলোচনায় ওয়ানডের ভবিষ্যত। অনেক বড় তারকা ক্রিকেটার তো নিজেকে ওডিআই ক্রিকেট থেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। ডি কক, বেন স্টোকস সহ আরো তারকারা। সবাই চাচ্ছেন টি-২০ আর টেস্ট চালিয়ে যেতে। তবে ওয়ানডে ফরমেটকে একটু পরিবর্তন করলে ওডিআই ক্রিকেট ও বেঁচে থাকবে বলে বিশ্বাস করেন মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি খ্যাত এবিডি ভিলিয়ার্স।
ডি ভিলিয়ার্স মনে করেন, “৫০ ওভারের ক্রিকেটকে ৪০ ওভারে রূপান্তর করা যেতে পারে। শুধু খেলার দৈর্ঘ্য একটু ছোট করা, এই যা। হয়তো দুইটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মতো হতে পারে, যেখানে প্রথম টি-টোয়েন্টির পর বিরতি থাকবে। প্রথম ম্যাচের রান দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে যোগ হবে।”
প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয়টিতে দলে পরিবর্তন আনা যাবে জানিয়ে ডি ভিলিয়ার্স আরো যোগ করেন, “দ্বিতীয় ম্যাচে দুই দল পরিবর্তনের সুযোগ পাবে। এটা ১৫ জনের স্কোয়াড থেকে বাছাই করা যাবে। যেমন, দ্বিতীয় ম্যাচে একজন বাড়তি স্পিনার নিয়ে নামলেন। প্রথম ম্যাচ শেষে ৩০ রান পিছিয়ে থাকলে আপনি হয়তো অতিরিক্ত ব্যাটার নামিয়ে আগ্রাসী হলেন। আমার মনে হয়, এটা দারুণ একটা ব্যাপার হতে পারে।”
ডি ভিলিয়ার্সের মতে, দ্বিতীয় ম্যাচের জন্য আলাদা টসও হতে পারে। অথবা বিকল্প উপায়ও বাতলে দিয়েছেন এই প্রোটিয়া কিংবদন্তি। বিকল্প উপায়ে যারা প্রথমে ব্যাট করেছে, দ্বিতীয় ম্যাচে তারা পরে ব্যাটিং করবে। এভাবে ম্যাচে আরো রোমাঞ্চ ফিরিয়ে আনা যাবে বলে মনে করেন ডি ভিলিয়ার্স।
কম সময়ের খেলা টি-২০ ও টি-১০ এর এই আকাশ সমান জনপ্রিয়তার যুগে দর্শকের কাছে খেলাটাকে আরো আনন্দদায়ক করে তোলার তাগিদ দিয়েছেন ডি ভিলিয়ার্স, “২০ ওভারের খেলা উপভোগ্য। সবাই টি-টোয়েন্টি ভালোবাসে। ৫০ ওভারের জায়গায় দুইটা টি-টোয়েন্টির আবেদন থাকবে। ৫০ ওভারের সংস্করণ থাকবে, ওয়ানডের বিশ্বকাপও থাকবে, কিন্তু এভাবে কিছু বিনোদন আনা যায়। আমি মনে করি, এটা দর্শকদের জন্য খুবই উপভোগ্য হবে। দুই টি-টোয়েন্টির মাধ্যমে সময় কিছু কমিয়েও আনা যাবে। সৃজনশীল হতে হবে,ক্রিকেটবিশ্ব এখন সৃজনশীল হওয়ার সময় ।”