কিংবদন্তি মোহাম্মদ রফিক

বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের টেস্ট ক্রিকেটের অভিষেক ম্যাচ খেলেছেন যেসব কিংবদন্তি ক্রিকেটার তার মধ্যে অন্যতম সেরা একজন মোহাম্মদ রফিক। ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে যে কয়জন ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লীগ আইসিএল এ যোগ দেন তার মধ্যে মোহাম্মদ রফিক একজন। সাকিব আল হাসান যুগের আগে বাংলাদেশী স্পিন অলরাউন্ডার বলতে এই বাঁহাতি স্পিন অলরাউন্ডারকেই বুঝাতো। ২০০৩ সালে তার বোলিং একশনের জন্য নিষিদ্ধ হন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ফিরেও আসেন রাজার হালে ঢাকায় দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৭ রানে ৬ উইকেট নিয়ে জানান দেন তিনি ফুরিয়ে যান নি। 

১৯৯৮ সালে ভারতের হায়দারাবাদে তার ৭৭ রানের উপর ভর করে কেনিয়ার বিপক্ষে প্রথম জয় পায় বাংলাদেশ। ২০০৪ সালে সেন্ট লুসিয়াতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনি ৯ নাম্বারে ব্যাট করতে নেমে ১১১ রানের এক অসাধারন ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়েও আছে তার গুরুত্বপূর্ন অবদান। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই ঐতিহাসিক ম্যাচে তিনি ৬৫ রানে ৫ উইকেট লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশের ২০০৪-০৫ সালের ক্রিকেটার অফ দ্যা ইয়ার নির্বাচিত হন।

মি. ফিফটিঃ হাবিবুল বাশার সুমন

ব্যাটিং রেকর্ড

এই কিংবদন্তি ৩৩ টি টেস্ট খেলেন এবং ১০৫৯ রান করেন। যার মধ্যে আছে একটি শতক (১১১) এবং ৪ টি অর্ধশতক। ওয়ানডে ক্রিকেটে ১২৫ ম্যাচের ১০৬ টি ইনিংসে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন এতে তিনি ১১৯১ রান করেন। যার মধ্যে আছে দুইটি অর্ধশতক এবং সর্বোচ্চ রান হল ৭৭। ক্যারিয়ারে একমাত্র আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২৬০ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ১৩ রান। এছাড়াও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ৭ টি যার মধ্যে ৪ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৩৮ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ২২ রান।

বোলিং রেকর্ড

বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ১০০ উইকেট অর্জন করা বোলার তিনি। ৩৩ টেস্ট ম্যাচে তিনি ১০০ শিকার করেন। ৫ উইকেট শিকার করেন ৭ বার। তার ইনিংস সেরা বোলিং ফিগার হল ৭৭ রানে ৬ উইকেট এবং ম্যাচ সেরা হল ১৬০ রানে ৯ উইকেট। ওয়ানডে ক্রিকেটে ১২৫ ম্যাচে ১২৫ উইকেট লাভ করেন তিনি। এই ফরম্যাটে তিনি ৫ উইকেট শিকার করেন একবার। ৪৭ রানের কেনিয়ার বিপক্ষে ৫ উইকেট লাভ করেন একমাত্র আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১ টি উইকেট পান। এছাড়া তিনি মোট ৭ টি টি-টোয়েন্টি খেলেন আর ১১ টি উইকেট লাভ করেন।

রেকর্ডসমুহঃ

প্রথম বাংলাদেশী যিনি টেস্ট এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে ১০০০ রান ও ১০০ উইকেটের মাইলফলক অর্জন করেন।

এশিয়া একাদশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারে তিনি আছেন ৩ নাম্বারে। এশিয়া একাদশের হয়ে তিনি ২ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৬ উইকেট। সর্বোচ্চ ৬৫ রানে ৪ উইকেট লাভ করেন আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে। তার উপরে আছেন জহির খান (১৩ উইকেট) ও শোয়েব আকতার (৬ উইকেট)

বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি বয়সে (৩৫ বছর ১৯৯ দিনে) ওয়ানডে ক্রিকেটে ৫ উইকেট শিকার। 

বাংলাদেশের হয়ে ৯ নং ব্যাটিং পজিশনে সর্বোচ্চ রান। (১১১)

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে ওডিআই ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের পাঁচটি ইনিংস

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top