মি. ফিফটিঃ হাবিবুল বাশার সুমন

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। সব সময় হাঁসি মুখে থাকা এই সাবেক অধিনায়কে হাত ধরেই বাংলাদেশে প্রথম টেস্ট জয় এসেছে। ২০০৫ সালের  ৬ জানুয়ারীতে অনুষ্ঠিত হওয়া সেই ম্যাচে ৯৪ রান করে আউট হন বাশার। এছাড়াও বাংলাদেশের পঞ্চপান্ডব যুগের আগে অধিকাংশ ব্যাটিং রেকর্ড ছিল ওয়ান ডাউনে খেলা এই ডানহাতি ব্যাটারের। আজকের আয়োজনে থাকবে তার বর্নিল ক্যারিয়ার।

টেস্ট ক্যারিয়ার

বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ৫০ টেস্ট খেলোয়াড় ছিলেন হাবিবুল বাশার। তিনি তার ক্যারিয়ারে ৫০ তম টেস্ট ম্যাচ খেলেই অবসর নেন। ৫০ টেস্টে ৯৯ বার ব্যাট করতে নামেন তিনি এবং অপরাজিত ছিলেন ১ বার। তিনি টেস্টে প্রায় ৩১ গড়ে করেন ৩০২৬ রান। শতক হাঁকিয়েছেন ৩ টি এবং অর্ধ শতক করেছেন ২৪ টি। সর্বোচ্চ রান করেন ১১৩ রান ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তার ক্যারিয়ারে তিনি সর্বোচ্চ রান করেছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে (৫৭৮) এর পরেই করেন পাকিস্তানের বিপক্ষে (৫৫৪) । তার তিনটি শতকের তিনটি আসে আলাদা তিন দলের বিপক্ষে। পাকিস্তান (১০৮), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১১৩) এবং জিম্বাবুয়ে (১০৮)। টেস্টে তার অভিষেক হয় ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট ২০০০ সালের নভেম্বরের ১০ তারিখে। অভিষেকেই ৭১ রানের এক ঝকঝকে ইনিংস খেলের প্রথম ইনিংসে দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং ভরাডুবির মাঝেও তিনি দলীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন। তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলেন ২০০৮ সালে দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে। তিনি প্রথম ইনিংসে করেন ১১ রান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ০২ রান।

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে ওডিআই ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের পাঁচটি ইনিংস

ওয়ানডে ক্যারিয়ার

ওয়ানডে ক্রিকেটে তিনি টেস্টের মত সফল না হলেও তার খেলার সময়ে তিনি দেশের সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন। তিনি মোট ১১১ টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেন। এর মধ্যে ১০৫ টি ওয়ানডে তিনি ব্যাট হাতে মাঠে নামেন। তার এই ক্যারিয়ারে ২১৬৮ রান করেন। ক্যারিয়ারে তিনি কোন শতক না করতে পারলেও করেন ১৪ টি অর্ধশতক। যার মধ্যে সর্বোচ্চ রান হল ৭৮, তিনি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই রান করেন। টেস্টের মত ওয়ানডে তেও তিনি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান (৭৫২) করেন। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন ভারতের বিপক্ষে (২৩৭)। 

ওয়ানডে ক্রিকেটে তার অভিষেক হয় ১৯৯৫ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে। অভিষেক ম্যাচে তিনি ১৬ রান করেন। বাংলাদেশ ঐ ম্যাচটি শ্রীলংকার কাছে হারে ১০৭ রানে। তার ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে খেলেন ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তিনি দলের সর্বোচ্চ রান (৪৩) করেন। ম্যাচটি বাংলাদেশ হারে ৪৬ রানে। 

তার ক্যারিয়ারে তিনি ওয়ানডেতে একটা উইকেট লাভ করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ১৯৯৯ সালের ৯ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়া ম্যাচে তিনি ১০ ওভার বল করে ৩১ রানের বিনিময়ে তার একমাত্র উইকেট টি নেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ততকালীন অধিনায়ক ব্রায়ান লারাকে তিনি ১১৭ রানে বোল্ড করেছিলেন। 

তিনি তার ক্যারিয়ারে কোন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেন নি।

সাকিব আল হাসান যে দশটা রেকর্ডের মালিক (দ্বিতীয় পর্ব)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top