মি.সাইলেন্ট কিলারঃ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে আন্ডাররেটেড খেলোয়াড়দের যদি তালিকা করা হয় তাহলে মি. ডিপেন্ডেবল মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের নামটা সবার উপরেই থাকবে। দেশের বড় তারকা হওয়া স্বত্বেও তার নেই কোন বড় কোন ফ্যানবেজ। তারপক্ষে কলম ধরে নি বড় কোন লেখক ও। তবে তিনি সব কিছুর জবাব নিজের ব্যাট দিয়েই দিয়েছেন। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারানোর ম্যাচে সেই লড়াকু ইনিংস কিংবা ২০১৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব কে সাথে নিয়ে বুক চিতিয়ে ম্যাচ জেতানো কিংবা নিদাহাস ট্রফিতে ৬ মেরে দলকে জেতানো এমন অনেক স্মৃতিই আছে তাকে নিয়ে। আমাদের আজকের আয়োজনে এই নিরবঘাতক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি 

ব্যাটিং

নিজের অভিষেকটা বড় দলের বিপক্ষে হয়নি রিয়াদের। ২০০৭ সালে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে অভিষেক হয় এই অলরাউন্ডারের। অভিষেক ম্যাচে বাংলাদেশ জিতলেই ভাল করতে পারেন নি রিয়াদ। ৮ বল খেলে মাত্র ২ রান করে আউট হন। সেই শুরু থেকে এই পর্যন্ত লাল সবুজের প্রতিনিধিত্ব করেন ১৩১ টি ম্যাচে। দ্যুতি ছড়িয়েছেন ব্যাট-বল দুইভাবেই। ১২০ ম্যাচে ব্যাটিং করে করেছেন ২২৯৯ রান। যার মধ্যে সর্বোচ্চ হল অপরাজিত ৬৪ রান। কোন শতক না থাকলেও অর্ধশতক করেছেন ৮ বার। প্রায় ১২০ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করা এই ব্যাটার ১৭৫ টা চার এবং ৭১ টি ছয় হাকিয়েছেন। এর পাশাপাশি ৫০টি ক্যাচ ধরেছেন। 

বোলিং

রিয়াদ তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৭৩ ইনিংসে বল করেছেন আর ৩৯ টি উইকেট তুলে নিয়েছেন। যার মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ রান খরচায় ৩ উইকেট। ক্যারিয়ারজুড়ে তিনি ৭.১৩ ইকোনমিতে বল করেছেন যার গড় প্রায় ২৭। 

অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তঃ টি-টোয়েন্টির সাথে কতটুকু মানানসই

টি-টোয়েন্ট

ব্যাটিং

ফ্র্যাঞ্জাইজি লীগ- ঘরোয়ালীগ মিলে রিয়াদ ৩২২ টি ট-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন যেখানে তিনি ব্যাট হাতে মাঠে নেমেছেন ২৯৩ ম্যাচে। ১২০.৫০ গড়ে করেছেন ৫৮৭৯ রান। সর্বোচ্চ ৭৩ করেছেন। কোন শতক নেই তবে অর্ধশতক আছে ২৩ টি। ১৯৮ টি ছয়ের পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন ৪৪৮ টি চার। ক্যাচ ধরেছেন ১৩৩ টি।

বোলিং

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২০০ ম্যাচে বোলিং করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে প্রায় ২৫ গড়ে তুলে নিয়েছেন ১৩২ উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ৬ রানে ৩ উইকেট। 

দলসমুহ

একটা সময় ছিল রিয়াদ নিয়মিত ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট গুলো খেলতেন নিয়মিত। পিএসএল, সিপিএল, বিপিএলে খেলেছেন নিয়মিত। তার দলসমুহঃ বাংলাদেশ জাতীয় দল, বরিশাল বুলস, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, চট্টগ্রাম কিংস, ফরচুন বরিশাল, জেমিকন খুলনা, জামাইকা তালাওয়া, খুলনা টাইটান্স, মিনিস্টার গ্রুপ খুলনা, কোয়েনা গ্লাডিয়েটরস, সেন্ট কিটস এন্ড নেভিস পেট্রিওটস ক্যারিয়ার জুড়ে এসব দলের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন তিনি।

তাসকিন আহমেদঃ বাংলাদেশের স্পিডমাস্টার

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top