একটা সময় ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটে স্পিন এট্যাক নিয়ে দল পরিকল্পনা করা হত। মোহাম্মদ রফিক। আব্দুর রাজ্জাক, সাকিব আল হাসান সহ ছিল এক ঝাক স্পিনার। পেস বোলার বলতে খালেদ মাহমুদ সুজন, তাপস বৈশ্য দেরই ভাবা হত। এরপর মাশরাফি বিন মর্তুজার উত্থান। বোলিং এ পেস বলতে এটাই ছিল বাংলাদেশের সামর্থ্য।
সময়ের পরিবর্তনের পাশাপাশি বদলেছে দেশের ক্রিকেটের বোলিংএর বৈচিত্র ও। এখন দেশের বোলিং নেতৃত্ব দিচ্ছেন এক ঝাক পেস তারকা। যার মধ্যে অন্যতম নাম “ঢাকা এক্সপ্রেস” খ্যাত স্পিড মাস্টার তাসকিন আহমেদ। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলিং এর অন্যতম ট্রাম্পকার্ড এই পেসারকে নিয়ে থাকছে আমাদের আজকের আয়োজন।
ইনজুরির নিয়মিত হানায় বেশি বড় হয় নি তাসকিনের ক্রিকেট ক্যারিয়ার। তবে এর মধ্যে তিনি খেলে ফেলেছেন ৬১ টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তিনি ২৪.৭৯ গড়ে তুলে নিয়েছেন ৬৪ টি উইকেট। যেখানে তার ১৬ রানে ৪ উইকেট তুলে নেওয়ার স্পেলটা এখনো তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫ উইকেট শিকার করতে না পারলেও তিনি দুইবার ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের দাপটা ধরে রেখেছেন তাসকিন আহমেদ। ১৫৬ টি টি-টোয়েন্টি খেলা তাসকিনের সংগ্রহে আছে ১৮৩ টি উইকেট। ২৩.২৭ গড়ে নেওয়া এই উইকেটের মধ্যে তার সেরা স্পেল হল ৩১ রান খরচায় ৫ উইকেট এবং ইকোনমিটাও প্রায় ৮। একবার ৫ উইকেট শিকার করলেও ৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি সাতবার।
অসাধারন খেলা এই তারকা ক্রিকেটারের আইপিএল থেকেও এসেছে ডাক। কিন্তু দেশের খেলাকে সম্মান করতে খেলা হয়নি আইপিএলটা। তবে খেলছেন জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত হওয়া টি-টেন লীগ। সম্প্রতি লংকান প্রিমিয়ার লীগেও দল পেয়েছেন।
এই পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯, বাংলাদেশ জাতীয় দল, চিটাগাং কিংস, ঢাকা ডমিনেটরস, ঢাকা মেট্রোপলিস, দুর্দান্ত ঢাকা, ফরচুন বরিশাল, রংপুর রাইডার্স, সিলেট সানরাইজার্স সহ খেলেছেন অসংখ্য দলে।
এই বিশ্বকাপে নিজের ফর্ম ধরে রেখে ইনজুরি মুক্ত হয়ে দেশের জন্য অবদান রাখবেন এমনটাই আশা করেন তার সমর্থকেরা।